মুখপাত্র উমামা ফাতেমা

কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মোছে?, প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি (ঘৃণা স্তম্ভ হিসেবেও পরিচিত) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে সিটি করপোরেশন কর্মীরা। এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনার পর তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রক্টররে পদত্যাগ করতে হবে। এনএসআই এর প্রেসক্রিপশন নাকি র এর প্রেসক্রিপশন এসব আমি চিনি না। কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মুছে?!’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে টিএসসি সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ মুজিব ও হাসিনার ব্যঙ্গাত্বক গ্রাফিতি ক্রেন নিয়ে মুছতে আসে সিটি করপোরেশনের কিছু লোক। হাসিনার গ্রাফিতির মাথা পর্যন্ত মুছে ফেললেও মুজিবের পুরোটাই মুছে ফেলা হয়েছে। হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দিলে তারা এটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মোছে?, প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে

শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটা ছিল মূলত ঘৃণা স্তম্ভ। এটি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি। আমরা এটি দেখে প্রক্টরকে কল করলে প্রক্টর এসে জানান যে, তাকে গোয়েন্দা সংস্থা কল করেছেন শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার ছবি মুছে দেওয়ার জন্য। পরে প্রক্টর স্যার এস্টেট অফিসকে জানালে অফিস সিটি করপোরেশন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। যা শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন:

এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন এবং একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশের কথা জানান। একই সঙ্গে হাসিনার মুছে যাওয়া অংশে শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি আঁকতে বলেন এবং ঘৃণা স্তম্ভটিকে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি দেবেন বলে উল্লেখ করেন।

পরবর্তী সময় হাসিনার মুছে যাওয়া গ্রাফিতির অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা হাসিনার আরেকটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকেন।

আরও পড়ুন:

শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩ আগস্ট মেট্রোরেলের পিলারে থাকা হাসিনার এই গ্রাফিতিতে কালি মেখে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেদিন ও পরদিন (৩ ও ৪ আগস্ট) বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় সারাদিনই এর মধ্যে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে আপামর জনতা। ফলে এটি জুলাই বিপ্লবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।

এমএইচএ/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।