খালেদার দুই আপিলের শুনানি ২৪ জুলাই
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বেগম খালেদা জিয়ার দায়ের করা দুই আপিলের শুনানির জন্য আগামী ২৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
দুই মামলার শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে দুটি আবেদনের ওপর ২৪ জুলাই এবং বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর ২১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ৭ জুলাই খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
এদিকে ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৯ জুন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে তা খারিজ করে দিয়ে আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়া তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহাবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ২৫ মে খালেদা জিয়ার এ রিট আবেদনের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বিচারিক আদালতে মামলা দুটির কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন ও পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে মামলা দুটির অভিযোগ গঠনকারী বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
অপরদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ খালেদা জিয়ার রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেওয়ায় প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে কাজী রেজা-উল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করেন রিট দুটির নিষ্পত্তি করতে।
গত ১২ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট বিবেচনাধীন থাকা পর্যন্ত মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়।
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।