নিজাম হাজারী-দুর্জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
নিজাম হাজারীর ৮২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক অসংখ্য লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহা. নূরুল হুদা।
আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২), ৪ (৩) ধারায় ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, নিজাম হাজারীর ৮২ ব্যাংক হিসাবে ২৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকা জমা ও ২৬৮ কোটি ৬৬ টাকা উত্তোলন করেছেন। তার ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা জমা আছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-রেহানার ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
অন্যদিকে নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. আবুল হাসনাত।
দুর্জয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাবেক এই ক্রিকেটার অসদাচারণ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের কাছ থেকে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে দুর্জয় ও নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব করে সংস্থাটি।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বিগত ৩ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঢাকা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় নামে-বেনামে জমি, বাণিজ্যিক ভবন কেনা, বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এসএম/এমএইচআর/জিকেএস