বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নেবো, দায় নেবো না: পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণে আমাদের দেশ প্রায়ই শীর্ষ তিনে থাকে। গত ১০ বছর শুধু প্ল্যান আর প্রোগ্রাম হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। দুই বছর কাজ করে বায়ুদূষণ কমিয়েছে এমন একটা দেশ আমাদের দেখান। আমি কীভাবে চার মাসে এ সমস্যার সমাধান করবো। দূষণরোধে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি, আরও নেবো কিন্তু দায় নেবো না।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‌‌‘গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশন: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড প্রায়োরিটিজ ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করেন বিআইআইএস।

আরও পড়ুন

উপদেষ্টা বলেন, বের হলে দেখি সব জায়গায় ধুলোবালি। যেখানে সেখানে নির্মাণসামগ্রী। এরপর ইটভাটা, স্টিল মিলের দূষণ রয়েছে। আমাদের ৩০ শতাংশ দূষণ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। ২৮ শতাংশ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে, শিল্প, ভূমি থেকে ১৩ শতাংশ। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যে ২৮ শতাংশ দূষণ আসে সেটাতো আমরা কমানোর চেষ্টা করতে পারি। এখন কীভাবে এটা কমাবো, কোনো পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউজ করবো। সেটা আমাদের ঠিক করতে হবে।

তিনি বলেন, প্ল্যান শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। মিনিস্ট্রিতে এসেই ওয়ার্কশপ, প্ল্যান, প্রজেক্ট শুধু এসব। কিন্তু এসব প্ল্যানের বাস্তবায়ন আগে কখনও হয়নি। বায়ুদূষণ ধরেই সমাধান করা যাবে না। কাজ শুরু করতে হবে। অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমাদের কাজটা করতে হবে বর্ষব্যাপী। তাহলে ধুলোর প্রকোপ কমানো যাবে। তাহলে পরবর্তী বছরে অন্তত সহনীয় বায়ু পেতে পারি।

দূষণ রোধে টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা টাস্কফোর্স আছে। যেখানে ১৪ টা গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী শনিবার থেকে কাজ শুরু হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের দায় নেই এটা সত্য। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিকর প্রভাবরোধে আমাদের কন্ট্রিবিউশন কম এটাও সত্য।

আরএএস/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।