রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন দলের ব্যানারে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।
বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপর সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে।
এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী দল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
এদিকে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী বধ্যভূমি-স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র্যাব) রয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে। গেটে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হচ্ছে সবাইকে। এছাড়া রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধের পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী বুঝতে পারে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না। তখন তারা সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দেশকে অঙ্কুরেই দুর্বল করে দিতে এক হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তাদের বাসা থেকে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে।
এ গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। বন্দি অবস্থায়ও বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে হত্যা করা হয়।
টিটি/এসআইটি/এএসএম