হজ গমনেচ্ছুদের সুবিধার্থে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগ
চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুদের আর্থিক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
হজ এজেন্সিগুলো যেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে হজ গমনেচ্ছুদের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সে জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ প্রক্রিয়ায় প্রাক নিবন্ধনকারী হজ গমনেচ্ছু নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা নির্দিষ্ট হজ এজেন্সির একাউন্টে জমা দেয়ার পর ওই টাকা জমা পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে একটি প্রাপ্তি শিকারপত্র ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রাপ্তি শিকারপত্রে কোন হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তি, কোন হজ এজেন্সির বিপরীতে, কোন তারিখে ও কত টাকা জমা দিয়েছেন তার বিস্তারিত বিবরণ লেখা থাকবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ওই আর্থিক বিবরণ সত্যায়িত করতে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) কার্যালয়ে পাঠাবে।
কি কারণে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে হজ এজেন্সিগুলো হজ গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরও শেষ মুহূর্তে এসে টাকা জমা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।
হজের আগ মুহূর্তে হাজিরা হজ অফিসে এসে কান্নাকাটি করেন। এ সময় এজেন্সিগুলোকেও খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যাংকের কর্মকর্তরাও টাকা জমা হয়নি বলে জানায়। এ ধরনের ঘ্টনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। ফলে এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে এই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য চলতি বছর সরকারি পর্যায়ে ৪ হাজার ৩শ’৭৮ জন ও বেসরকারি পর্যায়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯১ জন প্রাক নিবন্ধন করেছেন। তারমধ্যে ৯৭ হাজার ৩শ’৪০ জন পুরুষ, ৪৮ হাজার ৬শ’ ৭৮জন মহিলা, ১ হাজার ৩শ’ ৮৩জন ১৮ বছর বয়সের নীচে ও ১ হাজার ১শ’ ২৬ জন প্রবাসী রয়েছেন।
সৌদি সরকার চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের কোটা বরাদ্দ রেখেছে।
এমইউ/এসকেডি/এমএস