কারখানায় জুয়া খেলছিল কর্মচারী, বাধা দেওয়ায় মালিককে খুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসান নগর এলাকার ছাপাখানা ব্যবসায়ী মো. নূর আলম হত্যার ঘটনায় কারখানাটির কর্মচারী মিরাজ মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- মিরাজের বন্ধু মো. শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও মো. রিফাত (১৯)। পুলিশ বলছে, গত শুক্রবার রাতে মিরাজ তার বন্ধু শিপন, রিফাতসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে নিয়ে কারখানার ভেতর জুয়ার আড্ডা বসিয়েছিল। ভোররাতে কারখানার মালিক নূর আলম তাদের জুয়া খেলায় বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে নূরকে হত্যা করা হয়।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, মো. নূর আলম কামরাঙ্গীরচর থানার হাসান নগর আন্ডারী মোড়ে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফেব্রিক্সের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। গত ৬ ডিসেম্বর সকালে তিনি গ্রামের বাড়িতে যাবেন বলে তার স্ত্রীকে জানান। কিন্তু এরপর থেকে নূর আলমের ফোনটি বন্ধ পায় তার পরিবার। এ ঘটনায় নূরের জামাতা মো. আতাউল্লাহ খান সজীব কামরাঙ্গীরচর থানায় বিষয়টি জানান।

প্রাথমিক তদন্ত এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে ছাপাখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাতকে ও কোতয়ালী থানার সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেফতার করা হয়।

হত্যা, ঢাকা, রাজধানী, পুলিশ, গ্রেফতারকারখানায় জুয়া খেলছিল কর্মচারী, বাঁধা দেওয়ায় মালিককে খুন

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালবাগ বিভাগের ডিসি জানান, গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার শিপন, মিরাজ, রিফাত ও পলাতক জিহাদসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে নিয়ে কারখানার মধ্যে জুয়া খেলছিল। তাদের খেলায় বাধা দিলে নূর আলমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এবং মরদেহ বাথরুমে নিয়ে দুই খণ্ড করে তারা। নিহতের মরদেহ যেন কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য গুম করার উদ্দেশে মরদেহ খণ্ড দুটি পলিথিন ও কাপড় দ্বারা পেঁচিয়ে একটি বস্তায় ভরে ছাপাখানার ভেতরে টেবিলের নিচের মেঝে ভেঙে মাটি চাপা দেয়।

এরপর জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দ্বারা ঢালাই করে তারা। এ ঘটনায় নিহতের জামাতা আতাউল্লাহ খান সজীব বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি জসীম বলেন, হত্যায় জড়িতদের মধ্যে মিরাজ ছাড়া কারো কোনো পেশাগত পরিচয় নেই। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।

টিটি/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।