কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

সালাহ উদ্দিন জসিম
সালাহ উদ্দিন জসিম সালাহ উদ্দিন জসিম , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কথায় আছে, নামে নামে জমে টানে। এমন অবস্থা বরিশালের গৌরনদীর প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের। পেশায় রিকশাচালক এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পেয়েছেন তার বীরত্বের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় সম্মান। নিয়তির পরিহাস, মৃত্যুর পর তার সনদের দাবিদার এখন আরেকজন।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তদন্তকালে নতুন দাবিদার অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে নিজেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা নন’ স্বীকার করলেও অসাধু চক্রের সহায়তায় ফের আগের দাবিতে ফিরে গেছেন।

নতুন বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার নুরুল ইসলামের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। সেখানে তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনো প্রমাণাদি ছিল না। দাবিও করেননি কখনো। ১৯৮১ সালে কর্মসূত্রে প্রথম গৌরনদী আসেন তিনি। ২০১২ সাল পর্যন্ত সেখানকার নিজামউদ্দিন ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেন। চাকরির শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা দাবি না করলেও শেষের দিকে এসে সেটি দাবি করে চাকরির অতিরিক্ত সময় বাড়াতেও চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হননি। তবে, ক্ষ্যান্তও দেননি। বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে মুক্তিযোদ্ধা সনদের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে যান এই নয়া দাবিদার। সেখানেও করেছেন বড় কারসাজি।

আমরা রিট করেছি। কোর্ট এরই মধ্যে রুল দিয়েছেন। এতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। কোনো রায় এখনো দেননি।-নুরুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এইচএম সানজিদ সিদ্দিক

কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

হাইকোর্টে রিট অনিষ্পন্ন, মিথ্যা তথ্যে ভাতা তুলছেন বাদী

তৎকালীন ইউএনওর তদন্তে ধরা খেয়ে পিছু হটলেও পরে আবার দুষ্টচক্রের যোগসাজশে বেশ কিছু কাগজ হাতিয়ে নিয়ে এবার সেগুলোসহ হাইকোর্টে রিট করেন নতুন মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার নুরুল ইসলাম। যার নম্বর- ৩২২। ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।’ অথচ এটিকে তার ভাতা প্রদানের রায় দাবি করে বর্তমান ইউএনও ও সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে ‘ম্যানেজ’ করে ভাতা তুলে নিয়েছেন নতুন দাবিদার নুরুল ইসলাম।

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে নতুন বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার নুরুল ইসলাম দাবি করেন, ‘আমি হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট মন্ত্রণালয়কে বলেছেন, ‘সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন তার ভাতা দেওয়া হলো না, তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে।’ মন্ত্রণালয় থেকে ডিসিকে দিয়েছে, ‘অনতিবিলম্বে তার ভাতা ছাড়ানোর জন্য।’ ডিসি আবার ইউএনওকে দিয়েছেন, ‘অনতিবিলম্বে তার ভাতা ছাড়ানোর জন্য মাননীয় বিচারপতি মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আপনাকে জানানো হলো। এটা বিলম্ব হলে আপনাকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’ সেখান থেকে ইউএনও শাখা ব্যবস্থাপককে লেখেন, ‘অনতিবিলম্বে তার ভাতা ছাড়ানো হোক, এটা মন্ত্রণালয় এবং হাইকোর্টের নির্দেশ। এটা বিলম্ব হলে আপনাকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

এদিকে রিটে নুরুল ইসলামেরই আইনজীবী অ্যাডভোকেট এইচএম সানজিদ সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা রিট করেছি। কোর্ট এরই মধ্যে রুল দিয়েছেন। এতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। কোনো রায় এখনো দেননি।’

কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

রুলের কপিটি জাগো নিউজের হাতেও এসেছে। সেখানে ভাতা দিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো রায় বা নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।

এমনকি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট রিট ও রুলের কপি দেখালেও তারা নিশ্চিত করেছেন, এদের মধ্যে কাউকে ভাতা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই রিটের আলোকে কাউকে ভাতা দিয়ে দিতে নির্দেশনা বা কাউকে সঠিক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো প্রত্যয়নও দেওয়া হয়নি।’

নুরুল ইসলাম, বাবা মোসলেহ উদ্দিন আমার এলাকার। তাকে আমি চিনি। তাদের সমস্যা সম্পর্কেও জানি। তবে তার সঙ্গে আমার কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। উভয়পক্ষের সমস্যাটি সমাধানে কোনো উদ্যোগ আমি নেইনি। কাউকে হুমকি-ধমকিও দেইনি। তাদের ফাইল গায়েব করার অভিযোগও সত্য নয়।- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় কর্মরত অভিযুক্ত আব্বাস আলী

নেপথ্যে অসাধু চক্র

এ নিয়ে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার মতো অবস্থা। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, নতুন বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার নুরুল ইসলামের ‘আত্মীয়’ আব্বাস আলী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় কাজ করেন। তিনি ও তার নেতৃত্বে একটি অসাধু চক্র মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সনদ ও পরিচয়পত্র প্রদান এবং ভাতা উত্তোলনে সহযোগিতার নামে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।

কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

সঙ্গত কারণেই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের নামের সংশোধন আবেদনটিতেও তাদের কুনজর পড়ে। বাকি গল্প চমকপ্রদ ইতিহাস! আব্বাস আলীর আত্মীয়ের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় তিনি সেই আবেদনটি (২০১৮ সালে) গায়েব করে ফেলেন। পাশাপাশি নিজের আত্মীয়কে এসব কাগজপত্র সরবরাহ করে নতুন দাবিদার হিসেবে দাঁড় করান। প্রথমে নুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি মুলাদী থেকে কয়েক মাস ভাতাও তোলেন। পরে এটি অনলাইন সিস্টেমে চলে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু বিধিবাম, ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মারা যান। পরে তার ছেলে ফের দাদার নাম (মুক্তিযোদ্ধার বাবা) সংশোধন চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনটিও গায়েব করে ফের সক্রিয় হয় আব্বাস চক্র। ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ গৌরনদী সমাজসেবা অফিসের সহকারী নুরুজ্জামানকে ম্যানেজ করে নতুন দাবিদারের তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি-এমআইএস তৈরি করেন। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার পুরোনো এমআইএস তখনও ছিল। পরে গৌরনদীর তৎকালীন ইউএনও বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি শক্ত হাতে ধরায় প্রথমে তারা পিছু হটলেও তার বদলির পর ফের সক্রিয় হয়। প্রথমে চক্রটি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার এমআইএস মুছে ফেলে। ইউএনও দপ্তরের অফিস সহকারী আব্দুল মজিদের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়পত্র ও সনদ নিয়ে নেন। যদিও অমীমাংসিত কেসের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র ও সনদ না দেওয়ার নির্দেশনা আছে মন্ত্রণালয়ের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও তার পক্ষের সব আবেদন এবং তদন্ত রিপোর্ট গায়েব হয়ে গেছে মন্ত্রণালয় থেকে। এমনকি ইউএনও বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদনও কয়েকটি রুম ঘুরে গায়েব হয়ে গেছে। এর পেছনে মূল হোতা আইন শাখার আব্বাস আলী।

পুরো প্রক্রিয়ায় আর্থিক সুবিধা নিয়ে সহযোগিতা করেছেন মেজবাহ উদ্দিনসহ গৌরনদীর কয়েকজন নামধারী মুক্তিযোদ্ধাও। পাশাপাশি গৌরনদীর ইউএনও আবু আব্দুল্লাহ খান ও সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক কয়েক লাখ টাকা নিয়ে চুপসে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কোর্ট রায় দিয়েছেন তাকে ভাতা দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তার সব কাগজপত্র সঠিক মর্মে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয়ন আছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা আদালতের রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছি।-গৌরনদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ খান

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় কর্মরত অভিযুক্ত আব্বাস আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘নুরুল ইসলাম, বাবা মোসলেহ উদ্দিন আমার এলাকার। তাকে আমি চিনি। তাদের সমস্যা সম্পর্কেও জানি। তবে তার সঙ্গে আমার কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। উভয়পক্ষের সমস্যাটি সমাধানে কোনো উদ্যোগ আমি নেইনি। কাউকে হুমকি-ধমকিও দেইনি। তাদের ফাইল গায়েব করার অভিযোগও সত্য নয়।’

গৌরনদী সমাজসেবা অফিসের সহকারী অভিযুক্ত নুরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুটো এমআইএস আমিই করেছি। তখন আমার হাতে ছিল সব। টাকা খেয়ে ডিলিট করে দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। একটি অটো ডিলিট হয়ে গেছে। কারণ তাদের কাগজ সঠিক নয়। তবে কেউ চাইলে এখনো এমআইএস সৃজন করতে পারবে।’

কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অটো ডিলিট হওয়ার সুযোগ নেই। যখন ডিলিট করা হয়েছে তখন এটি সমাজসেবার হাতেই ছিল।

গৌরনদী ইউএনও দপ্তরের অফিস সহকারী অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ অবসরে গেছেন। তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করলো কে?

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। কিন্তু প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে। অথচ তার পরিবার জানেন না।

কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

এ নিয়ে সোনালী ব্যাংক গৌরনদীর শাখার ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) অশোক কুমার হালদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘জীবিত নুরুল ইসলামই ঋণ পরিশোধ করেছেন। ভাতাও তুলছেন।’

দুজন দাবিদার থাকার কারণে ভাতাটি তো স্থগিত ছিল। কোন আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা ভাতা দিলেন? আর একজনের ঋণ আরেকজন পরিশোধ করে কীভাবে? জবাবে শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, কোর্টের অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ভাতা দিয়েছেন। অর্ডারটি দেখাতে বা দিতে অস্বীকৃতি জানালেও সেটি জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর মাধ্যমে এসেছে বলে দাবি করেন।

ভাতা স্থগিত আছে। মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ভাতা দিয়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়নি। কারও দাবির পক্ষে মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয়নও দেওয়া হয়নি। এমনকি মন্ত্রণালয় হাইকোর্ট থেকে কোনো আদেশ পায়নি বা তার আলোকেও কোনো নির্দেশনাও দেয়নি।-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী

একই সুরে কথা বলেন গৌরনদীর ইউএনও আবু আব্দুল্লাহ খানও। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোর্ট রায় দিয়েছেন তাকে ভাতা দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তার সব কাগজপত্র সঠিক মর্মে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয়ন আছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা আদালতের রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছি।’

তবে রায়ের কপি চাইলে তিনিও বলেন, ‘এটা আপনাকে আমি কীভাবে দেবো। আপনি আবেদন করেন, আমরা বিবেচনা করে দেখবো দেওয়া যায় কি না।’

এ বিষয়ে বর্তমান ও সাবেক জেলা প্রশাসকের বক্তব্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট আদেশের বিষয়ে সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ও বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (জেনারেল) তথ্যগত সহায়তা চেয়েও মেলেনি।

কারসাজি করে ভাতা তুলছেন ‘নতুন দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা’

সব কাগজপত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীর বক্তব্য নিতে চলতি বছরের ৩১ জুলাই তার কার্যালয়ে যায় জাগো নিউজ। তিনি আরও তিন কর্মকর্তাসহ সব কাগজ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘এটির বিষয়ে বক্তব্য দিতে আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। সব কিছুই তো আমার দায়িত্বে আসার আগে হয়েছে। আমরা নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তথ্যগুলো যাচাই করে পরে বক্তব্য দেবো। আপনি কিছুদিন অপেক্ষা করেন।’

বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ খানের বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব নিশ্চিত করেছেন, ‘ভাতা স্থগিত আছে। মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ভাতা দিয়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়নি। কারও দাবির পক্ষে মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয়নও দেওয়া হয়নি। এমনকি মন্ত্রণালয় কোর্ট থেকে কোনো আদেশ পায়নি বা তার আলোকেও কোনো নির্দেশনাও দেননি।’

এসইউজে/এএসএ/এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।