শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বাংলাদেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সেই সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া ব্যাপকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে দাবি করে প্রেস সেক্রেটারি বলেন, এই ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া আমাদের পুরো জাতিকে কাঠগড়ার দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের প্রতিবাদে আমাদের সিটিজেন গ্রুপ, ডায়াস ফোরা গ্রুপ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সোচ্চার হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের পাঠিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করানোর অনুরোধ করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আদৌ ভায়োলেন্সের (নির্যাতন) শিকার হচ্ছে কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখে যেতে বলেন।

প্রেস সেক্রেটারি বলেন, আজকের এসব ঘটনার জন্য আমি ভারতীয় মিডিয়াকে দায়ী করবো। তারা মিস ইনফরমেশনের ব্যাপক একটা ক্যাম্পিং চালাচ্ছে। তারা এই ইস্যুতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এর ফলে ভারতের জনগণ বা একটা অংশ ভায়োলেন্স করছে। তারই রেজাল্ট সহকারী হাইকমিশনে হামলা।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশি মিডিয়াকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাবো, আপনারা এসে প্রকৃত তথ্য দেখে যান। এরই মধ্যে বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স ভালো কিছু রিপোর্ট করেছে। কিন্তু ভারতের মিডিয়াগুলো আগে থেকে ডিটারমাইন্ড (নির্ধারিত করে রেখেছে) কী প্রতিবেদন করবে।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কাউন্সিলের রিপোর্টে ৯ জন মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে। এই মৃত্যগুলো কোনটিই ধর্মীয় কারণে হয়নি। প্রতিটি মৃত্যুর পেছনে ছিল রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারণ। অথচ এই তথ্য দিয়ে ভারতীয় মিডিয়া চোখ বন্ধ করে মিথ্যা প্রোপাগ্রান্ডা চালাচ্ছে।

শফিকুল আলম বলেন, আমরা হিউম্যান রাইট ওয়াচকে এসে দেখে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা খুব ট্রান্সপারেন্স।

এমওএস/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।