ডিএমপি কমিশনার

চাঁদাবাজদের তথ্য সংগ্রহ চলছে, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মোহাম্মদপুরে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, চাঁদাবাজদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে চাই।

এসময় ফুটপাতে হকারদের কাছ থেকে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি ১৩ দিন কমিশনার হিসেবে ডিএমপিতে যোগদান করেছি। এই কয়েকদিন নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে হাত দিতে পারিনি। আমি ফুটপাতে হকারদের কাছ থেকে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে চাই।

তিনি বলেন, একটি কথা বার বার উঠে আসছে, চাঁদাবাজি। মোহাম্মদপুর এলাকায় অন্য কোনো এলাকার লোক এসে এখানে চাঁদাবাজি করছে না। আপনাদের (মোহাম্মদপুর) প্রতিবেশীরাই চাঁদাবাজি করছে। আপনি এবং আপনারা সংগঠিত হয়ে তাদের প্রতিরোধ করুন। তাদেরকে বলেন চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ সব সময় জনগণের পাশে আছি।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ফুটপাতে হকারদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়। গতকাল সোমবার ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়। পরে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশে এখন যে পরিমাণে ইমেজ সংকট, ঠিক ১৫ বছরের আগে এতটা ইমেজ সংকটে ছিল না পুলিশ। আমরা চেষ্টা করছি যেন হারানো ইমেজ আবার পুনরুদ্ধার করতে পারি। এমন মতবিনিময় সভা আরও ৪৯টি থানায় অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ বাহিনী বাদ দিয়ে সমাজ চলবে সেটা আশা করার সুযোগ নেই এবং দ্বিতীয় কোনো পছন্দ নেই।

জুলাই-আগস্টের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে ঢাকার পুলিশপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এ ধরনের ঘটনা আমরা আশা করিনি। আমার পুলিশ কেন আপনাদের বুকে গুলি চালাবে? আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় আমার এই পোশাক, আমি যে গাড়িতে চড়ে আসলাম সেই গাড়িটি আপনাদের টাকায় কেনা। আমার সহকর্মীরাও যে গাড়িতে চলাচল করেন সেটিও আপনাদের (জনগণের) গাড়ি। এই গাড়ি জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে চাই। কিন্তু আমরা পুলিশ গত ১৫ বছরে সব ভুলে গেলাম!

মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একেকজন ৪০-৫০টি মামলার আসামি। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। এসব মামলার কিছু পুলিশ তদন্ত করবে। প্রায় দুই হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মা-বাবা বিচার দেখতে চান। বিচার না হলে আমরাও অপরাধী।

টিটি/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।