রিজার্ভ চুরি : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তাই দায়ী


প্রকাশিত: ০৫:৫২ এএম, ১২ মে ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনে ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছে সুইফট। এক বিবৃতিতে সুইফটের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাংক গ্রাহকরাই রিজার্ভ চুরির জন্য দায়ী। অর্থাৎ গ্রাহক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককেই রিজার্ভ চুরির জন্য দায়ী করছে সুইফট।

নিরাপত্তার জন্য যে কম্পিউটার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক পদ্ধতিতে বার্তা আদান প্রদান করে সেসব কম্পিউটার ব্যবহার করেই বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়েছে। রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই জড়িত এমনটাই সন্দেহ করছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এফবিআই এজেন্টদের কাছে প্রমাণ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় কমপক্ষে একজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ওই কর্মকর্তা ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন যারা হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, অর্থ লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন সে সংখ্যা নিশ্চিত করেনি এফবিআই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ যাবতকালে এটাই ব্যাংক থেকে অর্থ চুরির সবচেয়ে বড় ঘটনা। নিজেদের নিরাপত্তা প্রটোকল আরো জোরদার করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সুইফট বলছে, চুরির পেছনে সুইফট দায়ী নয় এবং সুইফটকে দায়ী করাই যাবে না। কারণ এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ত্রুটি। আপনাদের নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আপনাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।

সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সুইফট বলছে, সুইফটের ব্যবহারকারী হিসেবে সুইফটের সঙ্গে আপনাদের নেটওয়ার্ক এবং সেই সম্পর্কিত পরিবেশের নিরাপত্তার দায়ভার আপনাদের ওপরই। আপনাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ঘাটতি থাকলে সে বিষয়ে সুইফটের কিছু করার নেই। আর এক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় সুইফটকে দায়ী করা যাবে না।

সুইফটের এক সাবেক কর্মকর্তা বলেন, সুইফট সব সময় তার গ্রাহকদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে জোর দিয়ে আসছে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।