আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৩১ জনের নামে মামলা
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে তার পরিবার। শুক্রবার দিনগত রাতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় লিখিত এজাহার দেন আইনজীবী সাইফুল ইসলামের বাবা জামাল উদ্দিন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলায় ৩১ জনকে এজাহারনামীয় বাদে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।
- আরও পড়ুন
চিন্ময়ের কাছে পুলিশের হ্যান্ডমাইক গেলো কীভাবে, প্রশ্ন আইনজীবীদের
চট্টগ্রামে চিন্ময় সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী নিহত
মামলার আসামিরা হলেন- চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য।
এরমধ্যে শুভ কান্তি দাসের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। তিনি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে। অন্য আসামিরা চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা সেবক কলোনি এবং বান্ডেল রোড এলাকায় বসবাস করেন।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, সোয়াট, বিজিবি লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ওইদিন কর্মস্থল আদালত পাড়া থেকে বাসায় ফেরার পথে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন চিন্ময় অনুসারীরা।
এমডিআইএইচ/কেএসআর/এমএস