শাহবাগ থানা স্থানান্তর নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সিদ্ধান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর শাহবাগ থানা স্থানান্তর নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে। সাকুরা বারের পেছনে নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘেঁষেই নতুন করে নির্মাণ করা হবে শাহবাগ থানা ভবন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শাহবাগ থানা নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ৩ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে শাহবাগ মোড়ে থাকা শাহবাগ থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানান্তর করে থানা ভবন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে নেওয়ার কথা হয়।

তিনি বলেন, উত্তর দিকে মুখ করে যতটা কম জায়গা নিয়ে পারা যায় সুইটেবল জায়গায় শাহবাগ থানা তৈরি করা হবে। থানাটা একটুখানি রিলোকেট হবে, মোটামুটি কাছাকাছি জায়গায় থাকবে।

শাহবাগ থানা স্থানান্তর নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সিদ্ধান্ত

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বারডেম ও ঢাকা ক্লাবের কাছাকাছি একটা জায়গায় থানা নেওয়া হবে। উপদেষ্টারা জায়গা পরিদর্শন করে স্থান চূড়ান্ত করবেন।

আব্দুর রশীদ বলেন, এখন যে জায়গাটা থানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা অস্বাস্থ্যকর, সেখানে বিকল গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। ওগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে। ওখানে ফুলের যে মার্কেটটা আছে সেটিও পুনর্বিন্যাস করা হবে।

তিনি বলেন, সাকুরার পাশে শাহবাগ থানা সরানো খুব একটা উপযোগী জায়গা বলে মনে হয়নি। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের বিখ্যাত হোটেলগুলোর একটি রয়েছে। যেখানে থানা স্থানান্তরের কথা বলা হচ্ছিল ওই জায়গার মালিক জায়গা দিতে চাচ্ছেন না।

আরএমএম/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।