শান্তিকালীন পদক ও শ্রেষ্ঠ বিমানসেনাদের মধ্যে ট্রফি-সনদ বিতরণ
বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিমানসেনাদের মধ্যে শান্তিকালীন বীরত্বপূর্ণ বা সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদক প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসিদের (এয়ার) ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সদর দপ্তরে এ ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে পদক প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসিদের (এয়ার) মধ্যে সনদপত্র ও ট্রফি বিতরণ করেন।
বিমান বাহিনীতে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কর্মরত কর্মকর্তা, বিমানসেনা এবং এমওডিসি (এয়ার) সদস্যদের মধ্যে প্রতি বছর শান্তিকালীন পদক প্রদানের বিধান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জন্য ৩৯ জন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিমানসেনাকে শান্তিকালীন পদক প্রদান করা হয়।
- আরও পড়ুন
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকে পুলিশ
বিমানবাহিনীর গোলাবর্ষণ মহড়া, ফায়ারিং এলাকা পরিহারের অনুরোধ
আইএসপিআর আরও জানায়, অসীম সাহসিকতা ও দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রয়াত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে মরণোত্তর বিমান বাহিনী পদক (ইইচ) তার স্ত্রী ও মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও, একই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জন্য নির্বাচিত ৬ জন শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসি (এয়ার) সদস্যকে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
পদক, ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ শেষে বিমান বাহিনী প্রধান সবার উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। শান্তিকালীন পদক এবং শ্রেষ্ঠ বিমানসেনা ও এমওডিসির (এয়ার) ট্রফি ও সনদপত্রপ্রাপ্ত সদস্যদের বিমান বাহিনী প্রধান অভিনন্দন জানান। কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের এই সম্মাননা অন্যদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান, ঘাঁটি ও ইউনিটের এয়ার অধিনায়ক, বিমান সদরের পরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
টিটি/কেএসআর