১০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি, চট্টগ্রামে নিশান সাফারি গাড়ি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:২৪ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামে নিশান সাফারি গাড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি হয় বিলাসবহুল গাড়ি নিশান সাফারি। তবে গাড়ির উপরে ‘নিশাল পেট্রোল’ লোগো লাগিয়ে চালানো হচ্ছিল। বিআরটিএতেও নেই গাড়ি আমদানি সংক্রান্ত তথ্য।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-২৩২৪) চট্টগ্রাম মহানগরীর পশ্চিম খুলশীর রোজভ্যালি আবাসিকের হাছান টাওয়ার-১ থেকে জব্দ করেন কাস্টমস গোয়েন্দারা।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম খুলশী রোজভ্যালি আবাসিকের একটি বাসা থেকে নিশাল সাফারি ব্রান্ডের ৫৬শ সিসির একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়িটি নিবন্ধিত হলেও বিআরটিএতে আমদানি সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে গাড়িটি আমদানি ও নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মাফিক গাড়িটির মোট শুল্ক ৮২৭ শতাংশ। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা শুল্ককর হওয়ার কথা। যেহেতু ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি, তাতে বুঝতে পারা যায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গাড়িটি আমদানি করা হয়েছে।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম খুলশী রোজভ্যালি আবাসিকের হাছান টাওয়ার-১ থেকে নিশান ব্রান্ডের গাড়িটি আটক করা হয়। গাড়িটি ২০১৫ মডেলের। কিন্তু গাড়িটির গায়ে নিশাল পেট্রোল লেখা থাকলেও চেসিস নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইটে সার্চ করে গাড়িটি নিশান সাফারি হিসেবে নিশ্চিত হওয়া যায়। ওই দিন গাড়িটির আমদানি সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় মালিকের প্রতিনিধি মো. পারভেজ উদ্দিনের জিম্মায় গাড়িটি রাখা হয়।

jagonews24.com

মালিকের প্রতিনিধি একটি হলফনামা উপস্থাপন করেন। তাতে দেখা যায়, ওসমান গনি মেঘনা সিডস ক্রাসিং লিমিটেড থেকে দেড় কোটি টাকায় গাড়িটি ক্রয় করেছেন। যাবতীয় কাগজপত্র বুঝে পেয়েছেন এবং সরকারি রাজস্ব সংক্রান্ত কোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তিনি তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব বহন করবেন। কিন্তু কাস্টমস গোয়েন্দা টিমের কাছে তিনি গাড়ি আমদানি সংক্রান্ত দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। মেঘনা সিডস ক্রাসিং লিমিটেডের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও আমদানি কিংবা ক্রয় সংক্রান্ত কোনো দলিলাদি খুঁজে পায়নি বলে কাস্টমস গোয়েন্দা টিমকে জানায়।

পরবর্তী সময়ে বিআরটিএতে যোগাযোগ করেও গাড়িটি আমদানির কোনো তথ্য না পাওয়ায় এটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সোমবার ২৫ নভেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দা টিম গাড়িটি জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস গুদামে জমা দেয়।

এমডিআইএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।