ডিএনসিসি

জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে জড়িত ‘অসাধু চক্রের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসি সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সনদ সরবরাহ কার্যক্রমে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকদের জন্য যেসব সেবা রয়েছে সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশা সেটি পূরণে ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গঠিত কমিটি সচেষ্ট। আইন ও বিধি অনুসরণ করে জবাবদিহির মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রতিটি কাজ পরিচালিত হবে।

জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে জড়িত ‘অসাধু চক্রের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

ডিএনসিসির সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ডিএনসিসির প্রশাসককে সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১৯ আগস্ট মেয়র ও ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসি রাজস্ব আহরণ করে বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করে। হোল্ডিং ট্যাক্স রাজস্ব আহরণের একটি বড় খাত। আইন অনুযায়ী ডিএনসিসিতে নতুনভাবে সংযুক্ত এলাকার ফ্ল্যাট ও বাড়িতে বসবাস শুরুর সময় থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে।

এসময় হোল্ডিং ট্যাক্স সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে জড়িত ‘অসাধু চক্রের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকি করার নির্দেশনা দিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, নভেম্বর মাসেও অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজেদের বাসাবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্মায়, তাই কোথায় যেন পানি জমে না থাকে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যসচিব মীর খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এমএমএ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।