বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন বাতিলে অধ্যাদেশ অনুমোদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেছে।

এজন্য আইনটি বাতিল করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সংশোধিত ল অফিসার্স অধ্যাদেশ অনুমোদন

বৈঠকে ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

অভিজ্ঞ, দক্ষ ও যোগ্য অতিরিক্ত অ্যাটর্নি-জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি-জেনারেল নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান অ্যাটর্নি সার্ভিস-কে শক্তিশালী করতে এ অধ্যাদেশ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ হচ্ছে

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার যথাযথভাবে নিশ্চিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন করা হয়। এ আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং ৫ জন অবৈতনিক সদস্য সমন্বয়ে মানবাধিকার কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। গত ৭ নভেম্বর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য ও ৪ জন অবৈতনিক সদস্য তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মানবাধিকার কমিশনের অপর একজন অবৈতনিক সদস্য গত ২২ আগস্ট পদত্যাগ করেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগ করায় কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগে সুপারিশ দিতে এ আইনের ধারা ৭ এর অধীন জাতীয় সংসদের স্পিকারের সভাপতিত্বে একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। বাছাই কমিটিতে স্পিকার মনোনীত একজন সরকার দলীয় এবং অন্য একজন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য মনোনয়নের বিধান রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়ায় এবং স্পিকার পদত্যাগ করায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।