জামায়াতের শীর্ষ চার নেতার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ চার নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া জামায়াতের গুরু গোলাম আযাম সাজা ভোগের মধ্যেই মারা গেছেন। এর মধ্যে দিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের অবসান ঘটলো।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া নেতারা হলেন- দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সর্বশেষ দলপ্রধান মতিউর রহমান নিজামী।
গোলাম আযাম
২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর ৯২ বছর বয়সে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জামায়াতে ইসলামের ‘গুরু’গোলাম আযমের। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে ৯০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। মৃত্যুকালে তার আরও ৮৯ বছর কারাভোগ বাকি ছিল।
আব্দুল কাদের মোল্লা
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার সর্বপ্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর। ট্রাইব্যুনাল-২ এর রায় অনুসারে, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগ ছাড়া বাকি পাঁচটি অভিযোগে অপরাধ প্রমাণিত হয়।
কামারুজ্জামান
২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। একাত্তরে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ
২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সেই সময়কার আলবদর বাহিনীর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগও।
মতিউর রহমান নিজামী
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করলে ৫ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তা খারিজ করে রায় বহাল রাখেন। ফলে সকল আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
জেএইচ/এমএস