কারাগারের পথে নিজামীর পরিবার


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১০ মে ২০১৬

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে নিজামীর পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। নিজামীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কারা কর্তৃপক্ষ তাদের দেখা করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাস পেয়ে নিজামীর পরিবারের সদস্যরা কারাগারের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন।

নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন জানিয়েছেন, দু`দিন আগে পরিবারের পক্ষ থেকে দেখা করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে কারা কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। তবে আজ বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করায় পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে আসছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে কারা ফটকের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার আজ রাতেই দণ্ড কার্যকরের আবহ তৈরি করলেও নিজামীর পরিবারের কাউকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

দণ্ড কার্যকরের আগে দণ্ডিতের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে।

তবে সাবেক এই মন্ত্রীর সাজা কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্রীয় কারাগারে। ইতোমধ্যে কারাগারে প্রবেশ করেছেন জল্লাদ রাজু, দুই দফা বৈঠক করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেছেন, ক্ষমা না চাইলে যেকোন মুহূর্তে দণ্ড কার্যকর করা হবে।

তবে দণ্ড আজ কার্যকর হবে কি না, না হলে কবে হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না। সর্বশেষ জামায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর দণ্ড কার্যকরের সময়ও একই ধরনের পরিস্থিতির অবতারণা হয়েছিল।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিজামীয় সাজা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের মধ্যে দিয়ে তার আইনি লড়াই শেষ হয়েছে। সাজা থেকে বাঁচতে এখন তার সামনে খোলা রয়েছে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ। তবে গতকাল তার আইনজীবী ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন না নিজামী। এর আগে সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতি ওই আবেদন প্রত্যাখান করেছিলেন।

নিজামী হলেন পঞ্চম মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তৃতীয় মন্ত্রী, যার সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকরের পর্যায়ে এসেছে।

সোমবার দুপুরে নিজামীর রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারকদের সইয়ের পর বিকেলে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায় ওই রায়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে রায়ের অনুলিপি পৌঁছে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় কারাগারে। রাতে তা পড়ে শোনানো হয় নিজামীকে।

সোমবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, নিজামীর দণ্ড কার্যকর এখন সরকারের বিষয়। সরকার নির্ধারিত সময়ে কারা কর্তৃপক্ষ তা কার্যকর করবে।    

এএস/এআর/জেইউ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।