নিজামীর জন্য বুক ফাটছে পাকিস্তানের


প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১০ মে ২০১৬

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামির প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর জন্য বুক ফাটছে পাকিস্তানের। খুন, ধর্ষণ, হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ঢাকায় নিজামীর রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরুর পর পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামির নেতারা বিক্ষোভ করেছেন।

নিজামীর ফাঁসিকে বিচারিক হত্যাকাণ্ড মন্তব্য করে পাক জামায়াত নেতারা তা বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাক জামায়াতের পেইজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সেদেশের জামায়াতের নেতারা নিজামীর ফাঁসিকে বিচারিক হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে। এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশে জামায়াতের এই নেতার বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত উল্লেখ করে এক বিবৃতি দেয় পাক পররাষ্ট্র দফতর।



১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর পাক পররাষ্ট্র দফতর ওই বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান।

বিবৃতির প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক না গলাতে পাকিস্তানকে সতর্ক করে দেয় বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে পাকিস্তানের নাক গলানো এই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নিয়ে বিবৃতি দেয় ইসলামাবাদ।

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামির আরেক নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর উদ্বেগ প্রকাশ করে একই ধরনের বিবৃতি দেয় পাকিস্তান।

২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরও বিবৃতিতে মায়াকান্না দেখা যায় পাকিস্তানের। ইসলামাবাদে পাক জামায়াতের বিক্ষোভও দেখা যায়।

স্বাধীনতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান। ঢাকায় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের এ দুই শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।