মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাসা ভাড়া বাবদ টাকা চায় জবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩২ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চলমান হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় মেয়েদের হলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া দিতে অর্থের সংস্থান চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাবর চিঠি দিয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) হিট প্রকল্পের আওতায় দুটি খাত অন্তর্ভুক্ত করতে পরিকল্পনা কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছে ইউজিসি। মূলত এ প্রকল্পের সংশোধিত গৃহীত প্রস্তাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো আবেদনে দেখা গেছে, রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য কোনো আবাসিক হল না থাকায় (একটিমাত্র মেয়েদের হল ব্যতীত) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট তীব্র। এর ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হিট প্রকল্পের সংশোধিত যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সংকটের কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করা অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে এবং একমাত্র মেয়েদের আবাসিক হলে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সরকার নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ শিরোনামে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইটি) খাতে নারী শিক্ষার্থীর হার বাড়ানো। সরকার এ প্রকল্পটিকে মানবসম্পদ হিসেবে নারীর উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ‘অর্থ বিনিয়োগের একটি আঞ্চলিক মডেল’ হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।

প্রকল্পটি এ বছরের ৬ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা সরকার জোগান দেবে। আর বিশ্বব্যাংক থেকে প্রকল্প ঋণ নেওয়া হবে ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।

বিশেষ এ প্রকল্পের আওতায় দেশের সব সরকারি ও ইউজিসির অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ উইমেনকে অবকাঠামো নির্মাণ, উপকরণ ক্রয়, বৃত্তি, অনুদান, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম, প্রকাশনা এবং দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এমওএস/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।