লেবানন-তিউনিশিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৬১ প্রবাসী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪৩ বাংলাদেশি। এছাড়া তিউনিশিয়া থেকে ফিরেছেন ১৮ জন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সকাল সোয়া ৬টায় বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড বিমানযোগে ১৪৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে আনা হয়।

এর আগে এদিন ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে তিউনিশিয়ায় আটকেপড়া ১৮ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।

প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম।

আইওএমের পক্ষ থেকে তিউনিশিয়া ফেরত প্রত্যেককে ৫ হাজার ৪৫০ টাকা এবং লিবিয়া ফেরত প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার, প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

ফ্লাইটে প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এই ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে আর কেউ যেন বিদেশ গমন না করে এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুরোধ জানান।

লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। লেবানন থেকে দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আইএইচআর/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।