চরাঞ্চল উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বাজারব্যবস্থা গড়ার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৪
এমফোরসি প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

চরাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে একটি টেকসই বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উন্নত চাষাবাদ, আধুনিক প্রযুক্তি এবং সহজ অর্থায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনের মানোন্নয়ন করা হলে দেশ এগিয়ে যাবে।

বগুড়া পল্লি উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ও সুইসকন্ট্যাক্ট পরিচালিত মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দ্য চরস (এমফোরসি) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রকল্পটি বাংলাদেশে অবস্থিত সুইস দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১২-২৪ সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত চরাঞ্চলে খাদ্য সুরক্ষা, দারিদ্র্য ও ঝুঁকি হ্রাসকরণ, জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। সে লক্ষ্যে চরাঞ্চলের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করার ঐকান্তিক ইচ্ছা আমাদের আছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংলি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা মাথায় রেখে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে চরাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, চরের মূল জনপদের সঙ্গে ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজার ও অন্যান্য পরিসেবার মান আশানুরূপ নয়। যার ফলে চরে কম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয় এবং সার্বিক আউটপুট কম হয়। তবে চরের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও চরাঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার বিগত কয়েক দশকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। চরাঞ্চলের উন্নয়ন ঘিরে যদি মেগা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়, একই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা যায়। তবে চরাঞ্চলে কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য-প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটবে, যার সুফল বাংলাদেশ ভোগ করবে।

অনুষ্ঠানে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা, পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দূতাবাস ও এমফোরসি প্রকল্পের পার্টনার সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মজিবুল হাসান সেজান, বগুড়া পল্লি উন্নয়ন একাডেমির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এমফোরসি প্রকল্পের টিম লিডার আব্দুল আউয়াল।

এমফোরসি প্রকল্প চরাঞ্চলের দারিদ্র্য ও ঝুঁকি হ্রাসকরণ, জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি নিশ্চিত করতে বিগত ১২ বছর ধরে কাজ করেছে।

আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।