আর মাত্র একটি ধাপ


প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ০৯ মে ২০১৬

১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। আর মাত্র একটি ধাপ পেরলেই চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইপি গোলাম হায়দারের উপস্থিতিতে রায়ের কপি পড়ে শোনানো হয় নিজামীকে।

জেল কোড অনুযায়ী নিজামীর রায় কার্যকরে এখন শুধুমাত্র একটি ধাপ বাকি। সেটি হচ্ছে প্রাণভিক্ষার আবেদন। ঢাকা মহানগর অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামী কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইবেন। কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, মঙ্গলবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেট এসে নিজামীর কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইবেন। যদি তিনি তার সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান তবে সেই আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।

আর যদি নিজামী প্রাণভিক্ষা না চান তাহলে তখন থেকেই শুরু হবে ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ফাঁসি কার্যকরের আগে অবশ্য নিজামী তার পরিবারকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবেন।

এর আগে রোববার রাতে নিজামীকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। সেদিন রাতেই কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ধুয়েমুছে মঞ্চ পরিষ্কার করা হয়। যে মঞ্চে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে একই মঞ্চে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকরের দিক দিয়ে পঞ্চম হচ্ছেন নিজামী। জামায়াতের এই আমির একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধান। তার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বেই যে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল- এই মামলার বিচারে তা প্রমাণিত হয়।

এআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।