জুলাই স্মৃতি জাদুঘর

গণভবনে স্থান পাচ্ছে শহীদ নাফিজের নিথর দেহ বহন করা সেই রিকশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ গোলাম নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) গণভবনে নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি দেখতে গিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা জানান।

গণভবনে রিকশা হস্তান্তরের সময় উপদেষ্টা রিকশাচালক নূর মোহাম্মদকে তার সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

গত ৫ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘নাফিজের নিথর দেহ পড়ে থাকা রিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন নূরু’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক রিকশা ও চালককে খুঁজে বের করার জন্য তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

গণভবনে স্থান পাচ্ছে শহীদ নাফিজের নিথর দেহ বহন করা সেই রিকশা

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ ওরফে নূরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি ৩৫ হাজার টাকায় লন্ডনপ্রবাসী আহসানুল কবীর সিদ্দিকী কায়সারের নিকট বিক্রি করেছেন বলে জানান। পরবর্তী সময় আহসানুল কবীর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে হস্তান্তর করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফার্মগেটের পদচারী সেতুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ।

গুলিবিদ্ধ নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেয়, তখনো তিনি রিকশার রড হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলেন।রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রিকশায় নাফিজের নিথর দেহের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেখেছে কেঁদেছে কোটি মানুষ।

এএএইচ/এমএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।