মেয়র শাহাদাত

মেমন হাসপাতালে হবে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের নতুন দায়িত্ব নেওয়া মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে স্বল্প মূল্যে ডেঙ্গু রোগীদের রক্তপরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর সদরঘাটের মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ নির্দেশ দেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল গড়ে তোলা হবে। এছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট পরিদর্শন করবো। এরইমধ্যে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে জানাবেন, আমি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবো। মশা নিধনে এখন যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোও আমি যাচাই করব। সেগুলো আসলে কাজ করছে কী না। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবো।

মেয়র বলেন, একসময় নারী ও নবজাতক শিশুদের সেবায় মেমন হাসপাতালের আলাদা সুনাম ছিল। এখানে এসে চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম হাসপাতালে যন্ত্রপাতির ঘাটতি আছে। এই যন্ত্রপাতিগুলো সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে মেমন হাসপাতালকে ঢেলে সাজানো হবে। বন্দরটিলা হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম হাসপাতালসহ করপোরেশনের বেশ কিছু ভালো বড় হাসপাতাল রয়েছে। এগুলো সংস্কার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা হবে।

নিজের চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের নেতৃত্বে ছিলাম। রুগ্ন এই হাসপাতালটিকে আমি দায়িত্ব ছাড়ার সময় একটি ছয় তলা হাসপাতাল ভবনসহ সাড়ে তিন কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখে এসেছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেনসহ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এমডিআইএই/এসআইটি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।