মশক নিধনে প্রথমবারের মতো বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে দুটি কমিটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

মশক নিধনে গত ৫৩ বছরে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে কখনও কোনো কমিটিও গঠিত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

তিনি জানান, মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের পাশাপাশি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় বিভাগ কর্তৃক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। একটা নির্দিষ্ট স্থানে কি পরিমাণ কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিটালে মশক নিধন হবে তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া নিরূপণ করা কঠিন। কিংবা কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিটানোর ফলে ওই স্থানে কী পরিমাণ মশক নিধন হয়েছে তার সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এসব তথ্য নির্ভুলভাবে পেতে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো সহায়তা করবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বংশাল নাজিরাবাজার এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি তিনি এসব কথা বলেন।

মশক নিধনে প্রথমবারের মতো বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে দুটি কমিটি

তিনি বলেন, সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উভয় পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। মশক নিধন পূর্বের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে।

মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিং শেষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনে যান। সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় ফগিং এবং লার্ভিসাইড ছিটানো অনলাইনে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন।

এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।