জাতীয় যুব দিবসে রামপুরা খাল পরিষ্কার অভিযানে ডিএনসিসি
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রামপুরা খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় খাল পরিষ্কার অভিযান পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান। এসময় তিনি খালে ময়লা না ফেলার আহ্বান জানান।
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে সারাদেশে খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
রামপুরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রমে ডিএনসিসির ২৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। একটি অত্যাধুনিক ফ্লোটিং এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে খালের তলদেশ থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হয়।
ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন। এসময় তারা ফ্লোটিং এক্সক্যাভেটরে চড়ে এর কার্যক্রম দেখেন।
পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এলাকাবাসী ও পরিছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রশাসক বলেন, ‘বর্জ্য পরিষ্কার ডিএনসিসির একটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তা, ফুটপাত, গৃহস্থালির বর্জ্য এবং খালের বর্জ্য অপসারণ করেন। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে সারাদেশে জাতীয়ভাবে ১৫ দিনব্যাপী খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমারও ডিএনসিসি থেকে এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছি। রামপুরা খালে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হলো এবং পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির অন্যান্য খালেও এই কার্যক্রম চলবে।’
- আরও পড়ুন
- জাতীয় যুবদিবস আজ
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহরে পরিণত করতে নানা ধরনের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। প্লাস্টিক, পলিথিনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো প্লাস্টিক খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। খালে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ দেওয়া যাবে না, ময়লা ফেলা যাবে না।’
এসময় তিনি খালের জমি কেউ যেন অবৈধভাবে দখল করতে না পারে এ ব্যাপারে সোসাইটির নেতাদের সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।
এমএমএ/এসআইটি/জিকেএস