অক্টোবরে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১২ জন নিহত: এমএসএফ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
ফাইল ছবি

 

অক্টোবর মাসে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের কর্মী বা নেতা। বাকি নিহত তিনজন বিএনপির। আলোচ্য সময়ে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৩টি।

মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) অক্টোবর, ২০২৪-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংগঠনটি এই প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।

এমএসএফ প্রতি মাসে মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।

এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৪২৪ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন গুলিবিদ্ধ। সহিসংতার ৫৮টি ঘটনার মধ্যে ৩৭টি ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলজনিত, ১৭টি বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে, দুটি আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল, দুটি ঘটনা ঘটেছে বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বে এবং নয়জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের নিহতদের মধ্যে সাতজনের মধ্যে চারজনের মৃত্যুতে সরাসরি বিএনপি ও জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা, তিনজন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে ঘটেই চলেছে। এ মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

অক্টোবর মাসে ২৮৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ৫১টি ধর্ষণ, ১৫টি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেপ্টেম্বর মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ৩৫টি। সেপ্টেম্বরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ১০টি। অক্টোবর মাসে তা বেড়েছে। এই মাসে ২৩টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

অক্টোবর মাসে ৫৩টি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া গেছে। সেপ্টেম্বর মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪৯টি।

এসএম/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।