১৭ বছর ধরে শিকলবন্দি হোসেন আলীর বিষয়ে তদন্তে মানবাধিকার কমিশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

গত ২৯ অক্টোবর, গণমাধ্যমে ‌‌‘১৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন হোসেন আলীর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় ১৭ বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগটি অত্যন্ত অমানবিক। ঘটনাটি বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে কমিশন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

সুয়োমোটোর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং চলাফেরার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। পর্যাপ্ত জ্ঞান ও সচেতনার অভাবে আমাদের সমাজে প্রায়ই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহজাত মর্যাদা ও সমতা নিশ্চিত করা হয় না। অন্যদের মতোই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমতার ভিত্তিতে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে সক্ষম।

সুয়োমোটোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে উল্লেখ রয়েছে, তালায় প্রায় ১৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন হোসেন আলী সরদার (২৪)। জন্ম থেকে বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় অন্যত্র চলে যাওয়ার ভয়ে তাকে প্রতিদিন বাড়ির পেছনে রাস্তার ধারে শিকলবন্দি করে রাখা হয়।

চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে তার ভালো চিকিৎসা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। একজন ব্যক্তিকে ১৭ বছর ধরে শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগটি অত্যন্ত অমানবিক। বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হলেও তার চলাফেরার অধিকার রয়েছে।

এ অবস্থায় সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক অভিযোগের বিষয়টি বিশেষ করে ক. সরকারি সুযোগ সুবিধা; খ. স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির ভূমিকা; গ. স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করতে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের খুলনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এফএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।