১৪ বছর পর দাহ্য পণ্যের চার কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দাহ্য ও বিপজ্জনক পণ্যের চারটি কন্টেইনার খালাস করা হয়েছে। গত ১৪ বছর বন্দরে পড়ে ছিল এসব দাহ্য পণ্য।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় ওই কন্টেইনার দ্রুত সরানো না হলে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থা লেবাননের বৈরুতের মতো হতে পারে। এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে এটি দ্রুত নিষ্পত্তির হস্তক্ষেপ চান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান। নিবিড় তদারকি ও আনুক্রমিক চেষ্টায় গত ২৭ অক্টোবর কন্টেইনারগুলো নিলাম দরদাতার কাছে খালাস দেওয়া হয়।
- আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম-রানং বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচলের ট্রায়াল শিগগির
চলতি বছরেই শেষ হবে চট্টগ্রাম বন্দরে হেভি কার্গো জেটির নির্মাণকাজ
সম্প্রতি এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা চার কন্টেইনার ৯৩ টন অতি দাহ্য পণ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। ২০১২ সালে আমদানি করা এসব দাহ্য পণ্য বারবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানান জটিলতায় এটি নিষ্পত্তি হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে লেবাননের বৈরুত বন্দরের মতো দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এর আগে একাধিকবার কমিশনারকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়। সবশেষ গত সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে এনবিআরে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর এনবিআর চেয়ারম্যান বিপজ্জনক পণ্যের চালান নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে তার সমাধান করে সেগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস সদস্য ও কমিশনারকে নির্দেশ দেন।
এরপর কমিশনার কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম নিলাম কমিটির সঙ্গে জরুরি সভা করে চালানটি নিলাম প্রক্রিয়ায় খালাসে জটিলতা চিহ্নিত করেন। জানমালের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে এনবিআর চেয়ারম্যান কমিশনার ও বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে কয়েক দফা কথা বলেন। নিলাম দরদাতাকে এ পর্যায়ে সম্পৃক্ত করা হয়। অবশেষে ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে নিলাম দরদাতা মেসার্স এস এ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানিকে পণ্য চালানটি খালাস দেওয়া হয়।
এসএম/কেএসআর