সব রেল স্টেশনে ট্রেনের সিডিউল ডিসপ্লে বোর্ড চান যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মতো দেশের প্রতিটি রেল স্টেশনে ট্রেনের যাত্রীদের জন্য দৃশ্যমান ডিসপ্লে বোর্ড রাখা ও কোচ ইন্ডিকেটর দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে৷ এছাড়া যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন না, তাদের জন্য অন্তত কিছু টিকিট কাউন্টারে রাখার দাবিও এসেছে। একই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি আবারও বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) কমলাপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসার্স রেস্টহাউজে রেলওয়ের ঢাকা বাণিজ্যিক বিভাগ আয়োজিত অংশীজন সভায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে (সিসিএম) সরাসরি এমন অভিযোগ ও দাবির কথা জানান ট্রেনের যাত্রীরা।

মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য ঢাকাসহ দেশের বড় বড় স্টেশনগুলোতে ট্রেনের সিডিউলের ডিসপ্লে বোর্ড রাখা আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টেশনে এ মুহূর্তে কোচ ইন্ডিকেটর চালু আছে। ঢাকা ও বিমানবন্দর স্টেশনে এটি চালু করা হলেও বেশি সময় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও চেষ্টা করবো। একই সঙ্গে আজ থেকে কোচে থাকা আলফাবেটগুলো যেন একদম পরিষ্কার দেখা যায়, সে বিষয়টিও কার্যকর করবো।

কালোবাজারি থেকে যাত্রীদের টিকিট কিনতে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, অনেকেই অভিযোগ করেন রিফান্ডের টাকা ফেরত আসে না কেন। মূলত যে নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, টাকা রিটার্ন হলে ওই নম্বরেই টাকা যাবে। ফলে আপনি অন্য কারও কাছ থেকে বা অন্য কারও সাহায্যে টিকিট সংগ্রহ করলে সেই রিফান্ডের টাকা আপনি ফেরত পাবেন না। যার অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটি সংগ্রহ করা হয়েছে, তার ওখানে টাকা চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রিফান্ডের কোনো টাকা আটকে রাখি না। কালোবাজার থেকে টিকিট সংগ্রহ না করলে কালোবাজারিরা নিরুসাহিৎ হবে। আপনি টিকিট না পেলে একদিন পরে যাত্রা করুন। কিন্তু কেউ কালোবাজার থেকে টিকিট কিনবেন না। টিকিট না পেলে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে কেউ স্টেশনে আসবেন না। এতে যারা টিকিট পেয়েছেন, তাদের যাত্রা কষ্টদায়ক হয়।

কাউন্টারে টিকিট রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে ৫০ শতাংশ অনলাইনে, ৫০ শতাংশ কাউন্টারে দেওয়া হতো। আপনারা যদি দাবি করেন, আমরা আবারও সেটি করতে পারবো। তবে আগে ভেবে দেখবেন কোনটা আপনাদের জন্য ভালো হবে।

গত জুন মাসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, গত জুন মাসে যদিও ১৮ দিন ট্রেন চলেছে। তারপরও ওই সময়ের ৭০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে এবং ৩০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম, তাই টিকিট নিয়ে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. মহব্বতজান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অংশীজন সভায় ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন, পূর্বাঞ্চলের সব রুটের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার, স্টেশন মাস্টার, সাধারণ যাত্রী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সন্দীপ দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

এনএস/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।