পরিবেশ উপদেষ্টা

জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান/ফাইল ছবি

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক ধরনের পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। আমাদের এই ব্যবহার কমাতে হবে। উন্নয়নের মডেলগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং দূষণ রোধে সবাইকে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আসন্ন কপ ২৯-এর সংবাদ গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত মেন্টরিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) আয়োজনে এবং অন্যান্য ২৪টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আমাদের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের এই সম্মেলনগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং দক্ষতার সঙ্গ সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের এবং আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিতে থাকা জনগণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করাই আমাদের দায়িত্ব।

জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে সাধারণত পাঁচটি পৃথক সেশন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়, প্রতিটি সেশনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কপের ইভেন্টগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে সবার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন অংশগ্রহণের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

তিনি আরও বলেন, COP, CMP, CMA, SBSTA—এই সব সম্মেলন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা সেই সহযোগিতা যথাযথভাবে প্রদান করেনি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে আমাদের রেসপন্স মেকানিজমকে উন্নত করতে হবে। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরাসরি ও পরোক্ষ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত এজেন্ডাগুলোর ওপর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে এবং একটি কার্যকর লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামারুজ্জামান মজুমদার বলেন, উন্নত শহরগুলো যারা বর্তমানে পরিবেশ বিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে, ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশ দূষণগুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন একই মুদ্রার দুটো পিঠ। স্থানীয় পর্যায়ে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধানসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জলবায়ু সম্মেলনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে পারে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া।

আরএএস/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।