দুই গাড়ির মাঝে পড়ে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গাড়ির মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মোটরসাইকেল চালক। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান। তিনি রাইড শেয়ার করতেন। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহীসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

নিহতের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে একটি সরকারি স্টিকারযুক্ত গাড়ি ও একটি ব্যক্তিগত গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়।

শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান একজনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, সরকারি গাড়িতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ছিল। গাড়িতে একজন নারী কর্মকর্তা ছিলেন। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নিহত আব্দুর রহমানের স্বজন জাকির হোসেন জানান, দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে থাকা নারী ও তার চালককে স্থানীয়রা ঘিরে ধরে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও গাড়িতে থাকা আরোহীকেও আটকে রাখা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই গাড়ির চালক ও আরোহীকে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যায়।

স্বজনদের অভিযোগ, স্টিকারযুক্ত গাড়ির চালক ও ভেতরে থাকা নারীকে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও আরোহীকে থানায় রাখা হয়েছে।

স্টিকারযুক্ত গাড়িটি মিতসুবিশি কোম্পানির তৈরি। আর ব্যক্তিগত গাড়িটি টয়োটা। সংঘর্ষে দুটো গাড়িরই সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আরোহী আহত হয়েছেন।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছে। একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে যাচ্ছিল। পাশেই পার্ক করা ছিল সরকারি একটি গাড়ি। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, সরকারি গাড়িতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাস থাকলেও তা ব্যবহৃত হচ্ছিল পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে।

টিটি/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।