ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এ ঝড় মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রশাসকদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করেছে এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।
সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় স্ট্যান্ডিং অর্ডারস অন ডিজাস্টার (এসওডি) অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেনের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার জেলা প্রশাসকরা স্ব স্ব সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম যেসব কার্যক্রম দরকার সেগুলো নেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এমইউ/বিএ/এমএস