দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা
সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে
সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে বন্যা সংক্রান্ত পুনর্বাসন কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যথাযথভাবে নিরূপণ করে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, এরই মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা পুরো পুনর্বাসন কর্মসূচি তদারকি করবেন।
সরকার এরইমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি জেলায় নগদ ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ৩৮ হাজার ৯০০ টন চাল, ৩৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, ২ হাজার ৩১৫ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য বাবদ ১ কোটি ৮০ লাখ, গো-খাদ্য বাবদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও দেশের ১৬৩টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় ৮৫ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ২০৮ টাকা বিতরণ করেছে।
ফারুক ই আজম বলেন, দেশে এ বছর বন্যায় ব্যাপক জমির শস্য নষ্ট হওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। কৃষক যাতে অল্প সময়ের মধ্যে সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষ্যে কৃষকের মধ্যে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এবং এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস