দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করছে ৭৬ শতাংশ পরিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে বর্তমানে ৭৬ শতাংশ পরিবার আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করছে। এতে দৃশ্যমান গলগণ্ড নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ব আয়োডিন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) আয়োজিত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল (এনআই) ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রোভড নিউট্রিশনের (গেইন) সহায়তায় বিসিক ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন কার্যক্রমের শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। বিসিকের এ কার্যক্রমের ফলে ২০১৯-২০ পর্যন্ত আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার হার কমে দাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

আয়োডিন দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন আহাম্মদ খান। এছাড়াও ছিলেন এনআইয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়কা সিরাজ ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার।

বক্তারা বলেন, আয়োডিন একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুপুষ্টি। আয়োডিন মানুষের স্বাভাবিক মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। দেশে অনুপুষ্টির অভাবজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে আয়োডিন ঘাটতিজনিত সমস্যা অন্যতম। আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড, হাবাগোবা, বামনত্ব, অকাল গর্ভপাত, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিত্বসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

তারা আরও বলেন, নব্বইয়ের দশকের আগে বাংলাদেশে আয়োডিনের ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছিল। এর সমাধানের জন্য সরকার ১৯৯০ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিসিকের মাধ্যমে সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লবণ মিলের নিবন্ধন প্রদান, মিলগুলোকে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ, আয়োডিনযুক্ত লবণের মান নিয়ন্ত্রণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান, লবণ মিল ও বাজার মনিটরিং এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।

সভায় জানানো হয়, কোনো দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করলে সেদেশ আন্তর্জাতিকভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। সে স্বীকৃতি পেতে আমাদের আর বেশি দেরি নেই। আর মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষকে পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসতে পারলেই আমরাও এ স্বীকৃতি অর্জন করবো।

বক্তারা বলেন, দেশের মানুষকে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসতে আরও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

আয়োডিন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বব্যাপী ২১ অক্টোবর দিবসটি উদযাপিত হয়। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশেও এবছর আয়োডিন দিবসের গুরুত্বের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এনএইচ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।