অবসরে গেলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আশরাফুল ইসলাম সফলভাবে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে যাচ্ছেন।

রোববার (২০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। তার দায়িত্ব পালনকালে ১৮৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। এ সময় ১৬৮টি চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে ১০২.৯২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।

চা শিল্পকে টেকসই ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর উদ্দেশ্যে এবং চা উৎপাদনকারীদের সুরক্ষা প্রদানের নিমিত্তে চায়ের গ্রেড ভিত্তিক ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয় তার সময়ে। যার উপর ভিত্তি করে এখন চা নিলাম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি টি লাইসেন্সিং সিস্টেম চালু করেন। চায়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে "উন্নয়নের পথ নকশা: বাংলাদেশের চা শিল্প " এর মধ্যমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন কার্যক্রম চালু করেন।

চা শিল্পে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চা চোরাচালান রোধ ও সঠিক তথ্য প্রাপ্তির নিমিত্তে প্রথমবারের মতো টি সফট নামে একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে চা চোরাচালান রোধ এবং চা উৎপাদনের সঠিক তথ্য প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। পাশাপাশি সব চা বাগানের তথ্য একই প্লাটফর্মে প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ টি ইন্ডাস্ট্রি শীর্ষক আরও একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে।

মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম ১৯৬৮ সালের ২১ অক্টোবর বর্তমান লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার তিস্তা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ২১তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে ইঞ্জিনিয়ার্স কোর এ কমিশন লাভ করেন এবং ৫ আরই ব্যাটালিয়ন, পোস্তগোলা সেনানিবাসে যোগদান করেন। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষক নিযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনএইচ/এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।