আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন মাহফুজ আলম
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অংশীজনদের সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আজ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বিষয়ে মাহফুজ বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেছে ও গণহত্যায় সহায়তা করেছে, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৪ দল ও আওয়ামী লীগের শরিক যারা ছিল, জুলাইয়ের শেষে এবং আগস্টের শুরুতে যারা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেছে ও গণহত্যায় যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী কী হবে এই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে।’
- আরও পড়ুন
নির্বাচন কমিশন গঠনে দ্রুত সার্চ কমিটি: মাহফুজ আলম
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কীভাবে পালালো, তদন্ত করছি: শফিকুল আলম
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জাতীয় পার্টিও এই তালিকায় আছে। সংলাপে তাদের ডাকা হয়নি। জাতীয় পার্টি কিন্তু ফ্যাসিস্টদের নীরব সমর্থন দিয়ে গেছে এবং অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের বিষয়েও সরকার পর্যালোচনা করছে। রাজনৈদিক দলের সঙ্গে কথা বলে সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল, সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট বলে দিয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু সিদ্ধান্ত হবে।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘যারা (আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল) গত তিনটা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে এবং অবৈধভাবে পার্লামেন্টে এসেছে, তারা সবাই অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বাধা তৈরি করবে।’
‘এই বাধাটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে আপনারা দেখতে পাবেন। এই বিষয়ে আইনি ও প্রশাসনিক দিক আছে, এটা আপনারা অচিরেই দেখতে পাবেন। যখন নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে তখন বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।’ বলেন মাহফুজ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এমওএস/ইএ/জেআইএম