পেনশন ভোগান্তি বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা
রাজস্বখাতে নিয়মিত করা কর্মচারীদের পেনশন ভোগান্তি, প্রশাসনিক জটিলতা ও আর্থিক হয়রানি বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দাবি আদায়ে আগামী ২৩ অক্টোবর অর্থ উপদেষ্টার কাছে, ২৭ অক্টোবর আইন উপদেষ্টার কাছে এবং ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি। এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ২ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন, ৯ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুধী সমাবেশ ও ১৭ নভেম্বর দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অর্থ বিভাগের জারি করা দুই চিঠির কারণে শত শত কর্মচারীর পেনশন ও আনুতোষিকের টাকা অমানবিক ও অন্যায়ভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী অধিকাংশ কর্মচারী চাকরির সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন।
- আরও পড়ুন
- স্বাস্থ্য সহকারীদের ১১তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তির দাবি
- প্রভাবমুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে কমিশন গঠনসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী নিয়মিত করা কর্মচারীর বেতন, ছুটি, পেনশন ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা হয়ে আসছে। বর্তমানে অর্থ বিভাগের বিতর্কিত দুই চিঠি কর্মচারীদের পেশাগত জীবন ও অবসর জীবনকে অশান্ত ও হুমকির মুখে ফেলেছে। দিন দিন বৈষম্য ও জটিলতা আরও ঘনীভূত করে তুলছে।
মো. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, যে দুই চিঠির বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছিল, সে চিঠি আদালত কর্তৃক ২০১২ সালে বাতিল করা হলেও বিষয়টি আজও নিষ্পত্তি হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধিতে আনুষঙ্গিক সুবিধাদি বলতে কী কী বোঝানো হয়েছে তার ব্যাখ্যা আজও দেওয়া হয়নি। এমনকি আপিল বিভাগ, রিভিউ, ফারদার রিভিউয়ের সব ধাপ সম্পন্ন হলেও অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষিত অর্থ বিভাগের চিঠি দুটি আজও বহাল রয়েছে। এর ফলে সারাদেশে হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো শত শত অবসর ও পেনশনমুখী কর্মচারীদের পেনশন ভোগান্তি ও হয়রানি করে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/কেএসআর/এএসএম