জন অংশগ্রহণমূলক জেলা বাজেট প্রণয়নের দাবি
দেশের সুষম উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিতে আগামী অর্থবছর (২০১৬-১৭) থেকে জন অংশগ্রহণমূলক ‘জেলা বাজেটের’ দাবি করেছে সুশাসনের জন্য প্রচারভিয়ান (সুপ্র)।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা ২০১৬-১৭’ শীর্ষক এক সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।
সুষম উন্নয়নমূলক দেশ গড়ার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেট দরিদ্রবান্ধব, বাস্তবায়নযোগ্য, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক এবং জেন্ডার সমতাভিত্তিক করার দাবিও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ।
সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সুপ্র`র সদস্য এম এ কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের বাজেট কেন্দ্রীয়ভাবে প্রণয়ন, বরাদ্দ, নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। কেন্দ্র থেকে অনেক ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক প্রয়োজনের পরিমাণ ও প্রকৃতি বোঝা যায় না। এছাড়া সব উপজেলার জন্য সমান বাজেট বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু জেলা-উপজেলার প্রকৃতি, জনসংখ্যা ও অন্য নির্দেশক এক নয়। তাই বাজেট বরাদ্দ ও এলাকাভিত্তিক বণ্টনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বাজেটে স্থানীয় সরকারকে পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রণয়নের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য প্রতি জেলার জন্য একটি থোক বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে আমরা পূর্বে লক্ষ্য করছি এ থোক বরাদ্দ ব্যয়ে যথেষ্ট স্বচ্চতার অভাব থাকে। এক্ষেত্রে থোক বরাদ্দসহ সকল ব্যয় ব্যবহারে জবাবদিহিতা আরও জোরদার করতে হবে।
আমরা মনে করি, দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য থোক বরাদ্দ কোনো সমাধান নয়। তাই কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিতে আগামী অর্থবছর (২০১৬-১৭) থেকে জন অংশগ্রহণমূলক জেলা বাজেট প্রণয়ন করার দাবি জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সুপ্র চেয়ারপারসন আহমেদ স্বপন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এএস/এএইচ/এমএস