আজ মধ্যরাত থেকে মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৪

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্যরাত (১৩ অক্টোবর) থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবেন ২৫ কেজি। এ সময়ে সঠিক তালিকা তৈরি করে বরাদ্ধকৃত চাল দ্রুত বিতরণের দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে ৪৩ হাজার ৩০০ জন। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্য রাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মেঘনা নদীতে সব ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ একশ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ২২ দিন এসব এলাকায় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ থাকবে। জেলেদের সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সব ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এবার ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

মজুচৌধুরীরহাট ঘাট এলাকার জেলে সোহেল হোসেন ও মারফত উল্যাহ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না। সরকারের আইন মানবেন। তবে জেলেদের পুনর্বাসন করার কথা সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। প্রত্যেক জেলে যেন সরকারি সহায়তা পায় সেটাই আশা করেন তারা। বরাদ্ধ চাল সঠিক তালিকা তৈরি করে জেলেদের মধ্যে দ্রুত বিতরণের দাবি জানান তারা।

এদিকে অনেক জেলে বলেন, বর্তমানে যেসব ইলিশ পাওয়া যায় সেগুলো আকারে অনেক ছোট। পাশাপাশি ডিমওয়ালা ইলিশ কম পাওয়া যায়। যদি এ অভিযান আরো ১০দিন পরে দেওয়া হতো। তাহলে মা ইলিশ রক্ষায় ও জাটকা সংরক্ষণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতো বলে দাবি করেন তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার অভিযান সফল হলে অধিক পরিমাণ ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, এরইমধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি হারে চাল দেওয়া হবে। কেউ বাদ যাবেন না

এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।