তরুণদের পছন্দ দেশি, তরুণীদের পাকিস্তানি
এবার ঈদে তরুণীরা ঝুঁকছে পাকিস্তানি কুর্তি ও ভারতীয় গাউনের প্রতি। আর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় সুতি পাঞ্জাবি ও বিভিন্ন দেশীয় ব্র্যান্ডের শার্ট ও জিন্স। তবে অনেক তরুণই এবার গ্যাবাডিং প্যান্টও কিনছে। গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন শপিং মলে গিয়ে বিক্রেতা ও তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।
দুপুরের দিকে গুলশানের পিংক সিটির বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার ভিড়। তবে দোকানগুলোতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের আধিক্য ছিল বেশি।
পিংক সিটির দ্বিতীয় তলায় জেঅ্যান্ডজে দোকানের সেলসম্যান তানিয়া বলেন, ‘এবারের ঈদে আমাদের বিক্রি এখনও তেমন জমেনি। তবে যা বিক্রি হচ্ছে সে সবের মধ্যে মেয়েরা বেশি কিনছে পাকিস্তানি কুর্তি ও ভারতীয় গাউন। আমাদের এখানে দেশি পোশাক খুব একটা নেই।’
ঈদে বন্ধুদের নিয়ে জামা কিনতে আসা রেহনুমা রাইসা রুদ বলেন, ‘রমজানের ঈদে সবাই একটু আলাদা ও ভিন্নধর্মী পোশাক কিনতে চায়। আমিও তাই একটু পাতলা পাকিস্তানি কুর্তি কিনতে এসেছি। কারণ এবার একটু বেশিই গরম। বেশি ভারী পোশাক গায়ে রাখা যাবে না।’
একই শপিংমলে ইয়েলো দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা রাব্বি সিদ্দিকী বলেন, ‘রমজানের ঈদে সবাই নতুন পোশাক পরতে চায়। আমিও নতুন পোশাক কিনব। তবে এবার আমি সাদার মধ্যে শার্ট ও গ্যাবাডিং প্যান্ট কিনতে চাই। কেননা এবার গরম বেশি। তবে কেনার ক্ষেত্রে দেশীয় ব্র্যান্ডকেই প্রাধান্য দেব।’
এ ছাড়া মানাভি, তাঁতীঘরসহ অন্যান্য দোকানেও তরুণ-তরুণীদের শার্ট, জিন্স প্যান্ট, গ্যাবাডিং প্যান্ট ও ভারতীয় গাউন কিনতেই বেশি দেখা গেছে।
এ ছাড়া বনানীর ইউনাইটেড আরব আমিরাত শপিং কমপ্লেক্সের লাইমলাইট কাপড়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে অনেক ছেলে পাঞ্জাবি কিনছে। লাইমলাইটে অনেক কম দামে ভালোমানের পাঞ্জাবি পাওয়া যায় বলে জানান দোকানের সেলসম্যান সুমন।
পাঞ্জাবি কিনতে আসা নাজিব বেগ নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই এ দোকান। তাই দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু অনেক সস্তায় এত ভালো পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ভাবতেই পারিনি।’
তবে অভিজাত পরিবারের অনেক তরুণীকেই গুলশানের স্টাইলসেল, জারা, নাবিলা থেকে পাকিস্তানি ও ভারতীয় উচ্চমূল্যের পোশাক কিনতেও দেখা যায়।