গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর জিরানী এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিকরা। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা।

অপরদিকে জেলার আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে সপ্তাহের প্রথম দিনে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। শিল্প কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে জেলার ৮টি পোশাক কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে।

কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর জিরানী এলাকার আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানায় কাজে এসে প্রধান ফটকে জড়ো হন। পরে শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সকাল ৯টার দিকে কারখানার পাশের চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সড়কটি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ

শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া, ইটাহাটা, কোনাবাড়ি ও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার শিল্প কারখানার শ্রমিকরা দল বেধে সকালে কারখানার কাজে যোগ দিয়েছেন। এ সময় বিভিন্ন কারখানার সামনে নিরপত্তা ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলার আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মহানগরীর ইটাহাটা দিগন্ত সোয়েটার কারখানার শ্রমিক সেলিনা আক্তার বলেন, তাদের কারখানায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আশপাশের কারখানায় যখন ঝামেলা হয়েছিল তখন তাদের কারখানাও ছুটি ঘোষণা করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পরিদর্শক আবু তালেব জানান, জিরানী এলাকার একটি কারখানা ছাড়া জেলায় আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন কারণে জেলার ৮টি কারখানা আজও বন্ধ আছে। শিল্প কারখানার সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে শিল্প পুলিশ। সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল অব্যাহত আছে।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।