বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদের সম্পদের খোঁজে ১১ দেশে চিঠি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের সম্পদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ ১১ দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবরও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা পৃথক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চিঠিতে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুস গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাসুদ বিশ্বাসের দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

মাসুদ বিশ্বাস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের অভিযোগ পত্রে জানানো হয়।

এছাড়া স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইন্স লিমিটেডের বিমান ক্রয়ে সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ঘুসের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে প্রেরণ না করে পরিসমাপ্তি করেছেন। এছাড়া এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের রিপোর্টকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর আওতায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রেরণ না করে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে প্রেরণ করেছেন।

অভিযোগ আছে, অনিয়ম ও অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির কারণে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিমিদ্রী লি. এর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়। ওই স্থতিগাদেশ মাসুদ বিশ্বাস আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। তানাকা গ্রুপ, এস এ গ্রুপ এবং আনোয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং, অর্থ পাচার সংক্রান্ত সুনিশ্চিত তথ্য থাকা সত্ত্বেও উক্ত কেইসসমূহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে প্রেরণ না করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন।

এছাড়া এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ উত্তোলনপূর্বক বিদেশে পাচার; আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ ঘুসের বিনিময়ে জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থ পাচারের কেস ধামাচাপা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

এসএম/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।