২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
জনপ্রশাসন সচিবসহ দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি
জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ দোষী কর্মকর্তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি থেকে অপসারণপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সংগঠনের সমন্বয়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। দাবি আদায় না হলে আগামী রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের অবিশ্বাস্য রকম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়ায় সম্প্রতি যেসব তথ্যনির্ভর খবর পরিবেশিত হয়েছে; তা জেনে আমরা স্তম্ভিত ও উদ্বিগ্ন। তারা উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন ‘সমন্বয়কারীর’ নাম ভাঙিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। তাদের এই অপকর্ম বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সমগ্র জনপ্রশাসন, দেশ ও জাতিকে গভীরভাবে হেয় পতিপন্ন করেছে। আমরা তাদের এ কু-কর্মকে কখনই মেনে নিতে পারি না।
এদিকে ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে অর্থের লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরটি ‘ভুয়া’ এবং যে অভিযোগ উঠেছে তা মূল্যহীন বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
- আরও পড়ুন
- ডিসি নিয়োগে ঘুস লেনদেন নিয়ে খবরকে ‘ভুয়া’ বললেন জনপ্রশাসন সচিব
- ৩ কোটি টাকার চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন, তদন্ত কমিটি গঠন
- ডিসি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবেদনে যে স্ক্রিনশট প্রকাশ করা হয়েছে, তা আইফোনের কিন্তু তিনি স্যামসাং ফোন ব্যবহার করেন বলেও দাবি করেন মোখলেস উর রহমান।
এই খবরের সত্যতা আছে কি না, আপনি পদত্যাগ করবেন কি না- এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আপনারা যদি নিউজ করতে চান, স্ট্যান্ডবাজি নিউজ করতে চান, তাহলে এ প্রশ্ন করতে পারেন। এতদিন আমার সঙ্গে কাজ করেছেন, বিন্দু-বিসর্গ যেখানে সত্যতা নেই। এই প্রশ্ন করার আগে আপনারা নিজেকে প্রশ্ন করেন, কতটুকু যৌক্তিক হচ্ছে আমাকে এই প্রশ্ন করা।’
ওই দৈনিকে এর আগে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া তিনটি পদক্ষেপ তুলে ধরে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে তিনটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনটি চিঠি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নেবেন। তথ্য সচিবকে চিঠি লিখেছি সেখানে এই পত্রিকাটির নাম আছে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরাসরি সরকারি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য যা নিয়ম-কানুন আছে, আপনারা আমার থেকে ভালো জানেন। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
কেএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস/জেআইএম