রসিকে লুটপাট: দুদকের জালে মেয়র ও দুই প্রকৌশলী
দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) সাবেক মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. এমদাদ ও ইঞ্জিনিয়ার মো. আজম আলীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৩টি ওয়ার্ডে সড়ক বাতি স্থাপনে ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি, রংপুর শহরে দোকান থেকে কর আদায়, লাইসেন্স দেওয়া, ডিজিটাল সেবা দানেও ব্যাপক অনিয়মসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. এমদাদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. আজম আলী পরস্পর যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে সড়ক বাতি স্থাপনে ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের জন্য আহ্বান করা টেন্ডারে এডেক্স করপোরেশন লিমিটেড ও খায়রুল কবির রানার কাগজে ভুল থাকা সত্ত্বেও তাদের কাজ দেওয়া হয়। টেন্ডারের স্পেসিফিকেশনের মধ্যে লাইটের অরিজিন ইউরোপ, জার্মান ও হল্যান্ডের শর্ত থাকলেও এডেক্স করপোরেশন লিমিটেড চায়না ব্যান্ডের লাইট লেডভেন্স প্রদান করেন।
অন্যদিকে মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও তার স্ত্রীর ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে। এছাড়াও রংপুর শহরে দোকান থেকে কর আদায়, লাইসেন্স দেওয়া, ডিজিটাল সেবা দানেও ব্যাপক অনিয়মের তথ্য গোপন অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।
পরস্পর যোগসাজশে রংপুর সিটি করপোরেশনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে দুদক।
এসএম/এমআইএইচএস/এমএস