পূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, আগামী অক্টোবরের প্রথমাংশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে জনসংখ্যায় স্বল্পতার অস্তিত্ব আছে, যদিও কমিশন লঘু বা গুরুর পরিবর্তে সম-নাগরিকতায় বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সবাইকে সমান নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কেউ যদি অসহায় বোধ করেন তাহলে দেশের মানবাধিকার সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও বাড়িঘরে, কোথাও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্গাপূজা উদযাপন ঘিরে কোথাও কোথাও হামলার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। এ দেশে আবহমানকাল ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে।

বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে দেশ স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।

কমিশন আসন্ন দুর্গাপূজায় সব মণ্ডপে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানায়। কমিশন মনে করে, সারা দেশব্যাপী বিশাল সংখ্যক (৩২৬৬৬টি) পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এলাকাভিত্তিক সক্ষমতা যাচাই করে উপযুক্ত করে তোলা বা সহযোগী শক্তি গঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রতিপালন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিতকরণ, পূজা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন, সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানায় কমিশন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিপূর্ণরূপে বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায় কমিশন।

এসএম/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।