যাত্রাবাড়ীতে অপহৃত জাকারিয়া উদ্ধার, ৭ অপহরণকারী গ্রেফতার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে অপহৃত জাকারিয়াকে উদ্ধার ও মুক্তিপণ দাবিকারী সাতজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ। এ সময় অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে ডিবি।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. আলী আজগর, কাজী আমিনুল ইসলাম আমিন, মো. মারুফ গাজী, মো. আল-আমিন, মো. কামাল হোসেন ও মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে মিস্টার ও সূচনা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ৩৬ পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের চতুর্থ তলায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত জাকারিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি এবং ইসলামি ব্যাংকের একটি চেক বই, একটি সিপিইউ ও একটি ড্রিল মেশিন উদ্ধার করা হয়।
সন্ধ্যায় মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, জাকারিয়া পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব-কন্ট্রাক্টর। তিনি যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মুসলিমনগর এলাকায় বসবাস করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভার থেকে অপহৃত হন।
অপহরণকারীরা জাকারিয়ার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ওইদিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতের স্ত্রী লাইজু ওরফে স্বর্ণা। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ ও ডিবি সাইবার টেকনিক্যাল টিম।
অপহরণকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীর একাধিক স্থানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম।
তদন্তকালে ডিবি জানতে পারে, ভুক্তভোগীর একজন আত্মীয় অপহরণকারীদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা পাঠান। টাকা উত্তোলন করতে গেলে অপহরণকারী দলের পলাতক একজনের স্ত্রী সূচনাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩৬, পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের চতুর্থ তলায় মা প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী জাকারিয়াকে উদ্ধার ও ছয়জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ডিসি রেজাউল করিম।
এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
টিটি/জেএইচ/জেআইএম