উপদেষ্টা নাহিদ

শহীদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শহীদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিজ অফিসকক্ষে আন্দোলনে শহীদ সাফওয়ান আখতার সদ্য’র পরিবারের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সাক্ষাৎকালে শহীদ সাফওয়ানের বাবা ড. মো. আখতারুজ্জামান লিটন ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সাফওয়ানের বাবাকে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সাফওয়ান আখতার সদ্য গত ৫ আগস্ট সাভার থানার কাছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।

শহীদ সাফওয়ানের বাবাকে সব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, সাফওয়ান দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তার এ আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। আন্দোলনে শহীদদের কথা সামনে রেখেই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শহীদদের স্মৃতিগুলো একত্রিত করার ভাবনা আমাদের আছে।তাদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যতের আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে। শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে। তাদের মর্যাদা দিতে হবে। শতবছর পরেও যেন এ বিপ্লবের বীরদের কথা স্মরণ করে সমাজ বিপ্লবের অনুপ্রেরণা পায়।

সাফওয়ানের বাবা ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে দেশ হয়েছে সেটা যেন নতুন বাংলাদেশ হয়। আমাদের যেন পেছনে ফিরে যেতে না হয়। আমার ছেলের মতো কেউ যেন পুলিশের গুলিতে শহীদ না হন।

এসময় সাফওয়ান আখতার সদ্য’র মা ও বোন উপস্থিত ছিলেন।

এমএএস/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।